মনপুরায় বিদ্যুৎ সংকট, আলোবঞ্চিত প্রায় ২০ হাজারেরও অধিক মানুষ
প্রকাশ : ০৯ মে ২০২৫, ১৮:০৯ | অনলাইন সংস্করণ
আব্দুর রহমান সোয়েব ( মাল্টিমিডিয়া প্রতিনিধি )মনপুরা :

ভোলার দ্বীপ উপজেলা মনপুরায় দীর্ঘদিন ধরে সারি সারি বৈদ্যুতিক খুঁটি বসানো হলেও আজও আলো জ্বলেনি বহু ঘরে। উপজেলা সদর হাজিরহাট থেকে শুরু করে, মাষ্টার হাট ও দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নের একাধিক গ্রামে প্রায় ২০ হাজার মানুষ এখনো বিদ্যুৎবিহীন অন্ধকারে জীবনযাপন করছেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, কয়েক বছর আগ থেকে গ্রামাঞ্চলে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিতে খুঁটি বসানো হলেও এখনো বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়নি। অনেক জায়গায় খুঁটি পড়ে আছে, কোথাও আবার লাইন টেনে মাঝপথেই বন্ধ করে রাখা হয়েছে। ফলে, বিদ্যুৎ পাওয়ার স্বপ্ন দেখলেও বাস্তবে তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।
বর্তমানে মনপুরা সদর উপজেলা ও হাজিরহাট বাজারের ব্যবসায়ী এবং আশপাশের এলাকাগুলো বিদ্যুৎ পাচ্ছে দিনে গড়ে ৫ ঘণ্টারও কম সময়। দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎ না থাকায় ব্যবসায়ীরা ক্ষতির মুখে পড়ছে এবং মোবাইল, ফ্রিজ, সিসিটিভি ইত্যাদি চালাতে পারছে না ঠিকভাবে।
এছাড়া মনপুরায় যানবাহন চলাচলের একমাত্র মাধ্যম মোটরসাইকেল ও ব্যাটারিচালিত রিক্সা। বিদ্যুৎ না থাকায় রিক্সা চার্জ দিতে চালকদের যেতে হয় দূরবর্তী স্থানে বা প্রাইভেট জেনারেটর নির্ভর জায়গায়। এতে তাদের খরচ বেড়ে যায়, ফলে সাধারণ যাত্রীদের জন্য রিক্সাভাড়াও বেড়ে গেছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে স্থানীয় জনগণ, বিশেষ করে স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীরা ও নিন্মআয়ের মানুষ।
একজন স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, “রাত হলেই অন্ধকার। ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়া ব্যাহত হয়, মোবাইল চার্জ দিতে হয় বাজারে গিয়ে। তাছাড়া গরমে রাত কাটানো যায় না।”
উপজেলা বিদ্যুৎ অফিস সূত্রে জানা যায়, প্রকল্পের কাজ চলমান থাকলেও বরাদ্দ ও কারিগরি জটিলতার কারণে সংযোগ দিতে দেরি হচ্ছে। তবে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা আশ্বস্ত করেছেন,
মনপুরায় পৌছাবো ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ।
এই পরিস্থিতি দ্রুত সমাধানের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষাব্যবস্থা, যানবাহন সেবা এবং ব্যবসায়িক কার্যক্রমও মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে বলে মনে করছেন তারা।