শেখ হাসিনার রায়কে কেন্দ্র করে ঢাকায় নিরাপত্তা জোরদার
প্রকাশ : ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ১০:৫৮ | অনলাইন সংস্করণ
আলিমা আফরোজ লিমা:

জুলাই হত্যাযজ্ঞে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলার রায় কিছুক্ষণ পর।
এই মামলার রায়কে কেন্দ্র করে পুরো রাজধানীরজুড়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পাশাপাশি চেকপোস্টের সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) সকাল থেকে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ এলাকা ও মোড়ে মোড়ে পুলিশসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তৎপর রয়েছেন।
বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সড়কে অন্যান্য দিনের তুলনায় ব্যক্তিগত যানবাহনের সংখ্যা তুলনামূলক কম। রায়কে ঘিরে গত কয়েকদিন বিভিন্ন এলালায় ককটেল বিস্ফোরণ ও বাসে অগ্নিকাণ্ড ঘটে। নাশকতার শঙ্কায় সাধারণ মানুষের মধ্যে উদ্বেগ কাজ করছে।
রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে রাজধানীসহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। হাইকোর্ট ও ট্রাইব্যুনাল এলাকায় নেওয়া হয়েছে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা। রাজধানীর দোয়েল চত্বর থেকে শিক্ষাভবন অভিমুখী সড়কে যানচলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। সন্দেহভাজনদের তল্লাশি ও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
সুপ্রিম কোর্টের চারদিক কড়া নিরাপত্তায় মোড়ানো হয়েছে। গেটের সামনে সেনাবাহিনীকে অবস্থান নিতে দেখা গেছে। আর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সামনে ও ভেতরে পুলিশ র্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
এছাড়া রাজধানীর মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধ, কারওয়ানবাজার রেলক্রসিং, মিরপুর, শাহবাগ, মগবাজার, গাবতলীতে পুলিশ সদস্যদের দেখা গেছে সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের তল্লাশি করতে।
রাজধানীর গুলিস্তানে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে তৎপর রয়েছে পুলিশ, র্যার। আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
তবে রাজধানীতে অফিসগামী ও সাধারণ মানুষের স্বাভাবিক চলাচল দেখা গেছে। ব্যক্তিগত গাড়ি কম থাকলেও সড়কে রয়েছে যানবাহনের ভিড়, চলছে গণপরিবহন ও মেট্রোরেল।
পুলিশ বলছে, যে কোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে মাঠে রয়েছে পুলিশ, র্যাব, বিজিবিসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলম বলেন, যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল, আদালত প্রাঙ্গণ, শাহবাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকাসহ বিভিন্ন অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সিসি ক্যামেরায় নজরদারি দেখা হচ্ছে।
জানতে চাইলে ডিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান জানান, কার্যক্রম নিষিদ্ধ একটি রাজনৈতিক দল ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা বিভিন্নভাবে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির জন্য ককটেল বিস্ফোরণসহ যানবাহনে অগ্নিসংযোগের মতো ধংসাত্বক কার্যক্রমে লিপ্ত হচ্ছে। পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে আমরা আইনের সর্বোচ্চ প্রয়োগ করবো।
তিনি বলেন, রায় ঘিরে কোনো শঙ্কা নেই। মানুষকে নিরাপত্তা দিতে এবং জননিরাপত্তা বজায় রাখতে পুলিশ সর্বোচ্চ আইন প্রয়োগ করবে।
আমার বার্তা/এল/এমই
