তাজউদ্দীন স্মৃতি পার্কের অবৈধ ক্যাফে-লাইব্রেরি সিলগালা
প্রকাশ : ১৬ নভেম্বর ২০২৫, ১৩:১৭ | অনলাইন সংস্করণ
আমার বার্তা অনলাইন:

গুলশানে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ স্মৃতি পার্কে (দায়িত্বে ইয়ুথ ক্লাব মাঠ) অভিযান পরিচালনা করে অবৈধভাবে স্থাপিত ক্যাফে ও লাইব্রেরিসহ বিভিন্ন স্থাপনা সিলগালা করে দিয়েছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)।
সোমবার (১৬ নভেম্বর) সকালে রাজউকের উপ-পরিচালক মো. লিটন সরকারের নেতৃত্বে একটি দল এ অভিযান পরিচালনা করে।
প্রসঙ্গ: রাজউকের গুলশান মডেল টাউনের নকশা অনুযায়ী, ৮ দশমিক ৮৭ একর আয়তনের পার্কটির অবস্থান গুলশান ২ নম্বরের ১৩০-এ প্লটে। আগে নাম ছিল গুলশান সেন্ট্রাল পার্ক। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে নতুন নামকরণ হয় শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ স্মৃতি পার্ক।
পার্কের ৫ দশমিক ৫৪ একর জায়গা অনেক দিন ধরে ইয়ুথ ক্লাবের দখলে। উন্নয়ন-সংস্কারের পর পার্কের বাকি ৩ দশমিক ৩৩ একর অংশ দেড় বছর আগে উদ্বোধনের পর উন্মুক্ত করে দেয় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)।
পুরো পার্কের ব্যবস্থাপনা-রক্ষণাবেক্ষণে গত বছরের শুরুতে ডিএনসিসি ও ইয়ুথ ক্লাবের মধ্যে একটি চুক্তি হয়। ক্লাবের কাছেই পার্কের ব্যবস্থাপনা-রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব দেয় করপোরেশন। এরপরই পার্কের ভেতর অনেক স্থাপনা গড়ে ওঠে।
ক্লাব কর্তৃপক্ষ বলছে, তারা সিটি করপোরেশন থেকে অনুমোদন নিয়ে যথাযথভাবেই পার্কটি পরিচালনা করে আসছে।
রাজউকের উপ-পরিচালক মো. লিটন সরকার বলেন, ‘এই পার্ক জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকার কথা ছিল। কিন্তু এখানে জায়গা দখল করে বিভিন্ন ধরনের অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে। উন্মুক্ত পার্কে মূলত কমার্সিয়াল এক্টিভিটিস চলছে। টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। সাধারণ জনগণ পার্কের সুবিধা কতটা ভোগ করছে তা নিয়ে আমরা সন্দিহান।’
তিনি আরও বলেন, ‘রাজউক কর্তৃপক্ষ পার্ক কিছু শর্তে পার্কটি ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব দিয়েছিল। কিন্তু মাঠটিতে অবৈধভাবে বেশ কিছু স্থায়ী স্থাপনা নির্মাণ করা হয়। তাই এসব স্থাপনা বন্ধ করে সিলগালা করে দিচ্ছি। পরবর্তীতে আলোচনা সাপেক্ষে পার্কের স্বার্থ অক্ষুণ্ন রেখে কতটুকু স্থাপনা রাখা যাবে বা আদৌ যাবে কি না, সেগুলো আমরা চিন্তাভাবনা করবো।’
আমার বার্তা/এল/এমই
