বিআরটিএর সেবাদানে জবাবদিহি নিশ্চিত করার আহ্বান
প্রকাশ : ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ১০:২১ | অনলাইন সংস্করণ
আমার বার্তা অনলাইন:

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে জবাবদিহি নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব মো. সাইফুল আলম।
মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘বিআরটিএর গ্রাহকসেবা বিষয়ে নাগরিক সংলাপে’ সাইফুল আলম এ আহ্বান জানান। একক আত্মমানবিক উন্নয়ন সংস্থা আয়োজিত এ সংলাপে তিনি মুখ্য আলোচক ছিলেন।
সাইফুল আলম দাবি করেন, বিআরটিএর মাধ্যমে সরকার যে পরিমাণ রাজস্ব পায় তার কতটুকু সড়কখাতে জনস্বার্থে ব্যবহার হচ্ছে তা খতিয়ে দেখা উচিত।
সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির এ নেতা বলেন, ‘কিছুদিন আগে বলা হয়েছিল সেবা না বাড়লে বিআরটিএ বন্ধ করে দেওয়া হবে। কিন্তু আমরা বলেছি সংস্থার দোষ কী? মাথাব্যথা হলে মাথা কেটে ফেলে দেওয়া সঠিক সিদ্ধান্ত হতে পারে না। বিআরটিএর সেবার ক্ষেত্রে জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে, তদারকি বাড়াতে হবে ও ব্যবস্থাপনা ঠিক করতে হবে। এই সংস্থার অগ্রাধিকার কর্মসূচি ঠিক করা উচিত। একেক সময় একেক সিদ্ধান্ত নেওয়ায় এটির লক্ষ্য অর্জন হচ্ছে না।’
সাইফুল আলমের পরামর্শ হলো বিআরটিএর জনবলকে শতভাগ সক্রিয় করার ব্যবস্থা নিতে হবে। যানজট, চাঁদাবাজি ও সড়ক দুর্ঘটনা কমাতে সংস্থার কর্মপরিধি আরও উপযোগী করতে হবে। এখানে গ্রাহকরা টাকা দিয়ে সেবা পেতে চান। হয়রানি দূর করতে সেবায় তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে উদ্বুদ্ধকরণ কর্মসূচিও বাড়াতে হবে।
সংলাপে রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক সাইদুর রহমান বলেন, বিআরটিএর চেয়ারম্যান বারবার পরিবর্তন করা হয়। দায়িত্ব ঠিকমতো বুঝে নেওয়ার আগে বা দায়িত্ব ভালোভাবে পালন করা অবস্থায় চেয়ারম্যান পরিবর্তন হওয়ায় সংস্থার ধারাবাহিক কাজ ব্যাহত হয়েছে। মেয়াদোত্তীর্ণ বাস ও ট্রাক সড়ক থেকে সরানোর জন্য সংস্থাটি বারবার উদ্যোগ নিলেও কাজ হয়নি। কারণ স্ক্র্যাপ নীতিমালা চূড়ান্ত করা হয়নি। এভাবে নানা ফাঁক থাকায় উদ্যোগ নিয়েও সংস্থাটি সফল হয়নি। একে এখনই ঢেলে সাজাতে হবে। গাড়িচালকদের প্রশিক্ষণ যেমন বাড়াতে হবে, তেমনি তাদের সব দাবি ধীরে ধীরে পূরণ করতে হবে।
এসময় রোড সেফটি নেটওয়ার্কের সমন্বয়ক পাহাড়ী ভট্টাচার্য বলেন, সড়কে দুর্ঘটনা বেড়েছে। সড়ক নিরাপদ করতে হলে আন্তমন্ত্রণালয় ও আন্তবিভাগীয় সমন্বয় বাড়াতে হবে। এই খাতে যথাযথ সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে রাজনৈতিক সদিচ্ছাও জরুরি।
সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক নিখিল ভদ্র বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে সংস্কার শব্দটি বারবার উচ্চারিত হচ্ছে। বিআরটিএর সেবা বাড়াতে এখানেও সংস্কার শুরু করা দরকার। মাঠ পর্যায়ের সেবাগ্রহীতারা জনবল সংকটসহ বিভিন্ন কারণে কাঙ্ক্ষিত সেবা দ্রুততম সময়ে পাচ্ছেন না। তাই এখানে সংস্কার দরকার। বিশেষ করে প্রতিষ্ঠার পর থেকেই জনবল সংকটে ধুঁকছে সংস্থাটি। এ সমস্যাও দূর করতে হবে।
অনুষ্ঠানে সড়কখাতের বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধি ও নানা পর্যায়ের সেবাগ্রহীতারা উপস্থিত ছিলেন।
আমার বার্তা/এল/এমই