ঢাবিতে বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের মানববন্ধনে ইচ্ছাকৃত লোডশেডিং এর অভিযোগ

প্রকাশ : ০৫ জুন ২০২৩, ১৮:৫৫ | অনলাইন সংস্করণ

  ঢাবি প্রতিনিধি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দলের শিক্ষকদের মানববন্ধন শুরুর কয়েক মিনিট পূর্বে বিদ্যুৎ চলে গেছে। ফলে বিদ্যুতের অভাবে মাইক ব্যবহার করতে পারেন নি। 
মানবন্ধন কর্মসূচি শেষ হওয়ার ৫ মিনিটের মধ্যেই বিদ্যুৎ চলে আসে। বিষয়টি নিয়ে রহস্য সৃষ্টি হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারে।

জানা গেছে, সারাদেশে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যদ্রব্যের অসহনীয় মূল্য বৃদ্ধি, হামলা ও মামলার মাধ্যমে বিরোধী রাজনৈতিক মতানুসারিদের দমন-পীড়নের   প্রতিবাদ এবং তত্ত্বাবধায় সরকারের অধীনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবিতে  কর্মসূচি পালন করে।

 ৫ জুন সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে মানববন্ধন কর্মসূচির পালনের সিদ্ধান্ত নেয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দলের শিক্ষকরা ‌। 

মানববন্ধন শুরুর আগে সকাল এগারোটা ৪০ মিনিটের কলাভবন এলাকায় বিদ্যুৎ চলে যায়। ফলে বিদ্যুতের অভাবে পুরো মানববন্ধনের সময় মাইক ব্যবহার করতে পারেন নি সাদা দলের শিক্ষকরা।

মানববন্ধনে সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক লুৎফর রহমান বলেন, ভবিষ্যতে আন্দোলন -সংগ্রামে, জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠায় এবং ভোটের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকরা মানুষের পাশে থাকবে।

কলাভবন এলাকায় বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের 'পিক আওয়ার' এ কলাভবন এলাকায় বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় ক্লাস ও ল্যাব বন্ধ।এটাও এই সরকারের একটা ব্যর্থতা।তিনি ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের প্ল্যাকার্ড পরিদর্শনের নিন্দা জানান।

মানববন্ধন কর্মসূচিতে আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য এবং শিক্ষক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডক্টর মামুন আহমেদ , মার্কেটিং বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এবিএম শহিদুল ইসলাম, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ডক্টর সিদ্দিকুর রহমান খান, গণিত বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক শহিদুল ইসলাম,সাদা দলের সদস্য সচিব এবং ইন্টারন্যাশনাল হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ডক্টর মোহাম্মদ মহিউদ্দিন প্রমুখ।

এদিকে কলাভবন এলাকায় বিদ্যুতের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা মোঃ ইব্রাহীম জানান, রেজিস্ট্রার ভবন থেকে বিদ্যুতের লাইন বিচ্ছিন্ন হয়েছে। কেন বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে সেটা আমরা জানি না। রেজিস্ট্রার ভবনে গিয়ে বিদ্যুৎ অফিসের কেউই এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি।


এবি/টিএ