বশেমুরবিপ্রবিতে বিশ্ব দুগ্ধ দিবস উদযাপিত

প্রকাশ : ০১ জুন ২০২৩, ১৭:৩৩ | অনলাইন সংস্করণ

  ফজলে রাব্বি,বশেমুরবিপ্রবি

‘টেকসই দুগ্ধ শিল্প: সুস্থ্য মানুষ, সবুজ পৃথিবী’ -এই প্রতিপাদ্যে গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) বিশ্ব দুগ্ধ দিবস-২০২৩ উদযাপিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমবারের মতো বিশ্ব দুগ্ধ দিবসের আয়োজন করে এনিম্যাল সায়েন্স এন্ড ভেটেরিনারি মেডিসিন (এএসভিএম) বিভাগ।

বৃহস্পতিবার (১ জুন) সকাল ১১টায় লাইব্রেরি ভবনের সামনে থেকে একটি বর্ণাঢ্য র‍্যালির আয়োজন করা হয়। র‍্যালিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন, প্রশাসনিক ভবন ও হল চত্বর পার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল এন্ড কলেজে যেয়ে শেষ হয়।

বঙ্গবন্ধু বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল এন্ড কলেজের মাঠে উক্ত প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের সহযোগিতায় সংক্ষিপ্ত সময়ে একটি আলোচনা অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। এসময় বক্তব্য রাখেন এনিম্যাল সায়েন্স এন্ড ভেটেরিনারি মেডিসিন বিভাগের চেয়ারম্যান ড. নাজমুল হক, সহকারী অধ্যাপক ডা. হুর ই জান্নাত জ্যোতি ও সহকারী অধ্যাপক ডা. মার্জিয়া আফরোজ প্রিয়া।

এনিম্যাল সায়েন্স এন্ড ভেটেরিনারি মেডিসিন বিভাগের চেয়ারম্যান ড. নাজমুল হক বলেন, ‘দুধকে আদর্শ খাদ্য বলা হয়। এর কারণ দুধের পুষ্টি গুনাগুন এবং বিভিন্ন পুষ্টি উপাদানের অনুপাত এত সুন্দরভাবে বিন্যস্ত যে তা মানুষের সুস্বাস্থ্য তথা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য অত্যন্ত উপযোগী। দুধের পুষ্টি গুনাগুনসহ অন্যান্য সার্বিক স্বাস্থ্য উপকারিতা বিবেচনায় আন্তর্জাতিক খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) কর্তৃক বিশ্ব দুগ্ধ দিবস ২০০১ সাল থেকে পালিত হয়ে আসছে। সেই ধারাবাহিকতায় আজ পহেলা জুন এনিম্যাল সায়েন্স এন্ড ভেটেরিনারি মেডিসিন বিভাগ বিশ্ব দুগ্ধ দিবস-২০২৩ পালন করেছে। 

নিয়মিত দুগ্ধ পান যেমন আমাদের স্বাস্থ্য গঠনে সাহায্য করে তেমনি দুগ্ধ পানের সচেতনতা বৃদ্ধি করলে বাংলাদেশের দুগ্ধ শিল্পের বিকাশ ত্বরান্বিত হবে, যেটা বাংলাদেশের জন্য একটা সময় উপযোগী পদক্ষেপ। আমরা যেমনটা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছি ঠিক তেমনি পুষ্টি চাহিদা পূরণ করার জন্য প্রাণিজ প্রোটিন তথা দুধ ডিম এবং মাংস উৎপাদন বৃদ্ধি করা আমাদের পেশাগত দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। আজ বিশ্ব দুগ্ধ দিবসে সবার প্রতি এই আহ্বান জানাবো যে, আপনার স্বাস্থ্যের প্রতি সচেতন হন, নিয়মিত দুধ পান করুন, সুস্থ থাকুন এবং জাতি গঠনে সাহায্য করুন।’

অন্যান্যরা তাদের বক্তব্যে দুগ্ধ দিবস পালনের ইতিহাস ও সুস্থ সবল জাতি গঠনে দুধের ভূমিকা তুলে ধরেন এবং শিশুদের নিয়মিত দুধ পানে উৎসাহিত করেন। এসময় বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষক আলেয়া বেগম, নাদিম কাজী, হাবিবুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সবশেষে বিদ্যালয়ে উপস্থিত শিশুদের মাঝে প্যাকেটজাত দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্য বিতরণ করা হয়।

এবি/ জিয়া