তরুণরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ইনসাফের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে: সাদিক কায়েম
প্রকাশ : ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫:৪০ | অনলাইন সংস্করণ
আমার বার্তা অনলাইন:

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি সাদিক কায়েম বলেছেন, এদেশের তরুণরা ইনসাফের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ইনসাফের পক্ষে রায় দিয়েছে। আগামী দিনেও ইনসাফের প্রতিনিধি নির্বাচনের জন্য অপেক্ষা করছে তারা।
শনিবার (৬ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় ঠাকুরগাঁও-৩ (পীরগঞ্জ-রানীশংকৈল) আসনে জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
সাদিক কায়েম বলেন, ‘দাঁড়িপাল্লার প্রতিনিধি নির্বাচনে তরুণরা অপেক্ষায় আছে ৫৪ বছরের বঞ্চনাকে ভাঙার জন্য। কৃষকসহ সর্বস্তরের মানুষ মুখিয়ে আছে ইনসাফের পক্ষে, সকল মানুষের মুক্তি ও তাদের অধিকারের জন্য।’
সমাবেশে ঠাকুরগাঁও-৩ আসনে জামায়াত মনোনীত প্রার্থী মিজানুর রহমান মাস্টার বলেন, ‘৫ আগস্টের পরে আমরা কারো রক্তচক্ষুকে ভয় পাই না। কেউ যদি আমাদের ভয় দেখায় যে কেন্দ্র দখল করবে, ভোট চুরি করে পালিয়ে যাবে এই ধরনের ভয়কে আমরা মোটেও পরোয়া করি না। সবাইকে কেনা সম্ভব হলেও তরুণদের কেনা সম্ভব নয়। আমরা বলতে চাই, গোটা দেশের মানুষ এখন ইসলামিক দলগুলোর কাছে নিরাপদ।’
অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জুলাই বিপ্লবের অন্যতম সংগঠক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সভাপতি ও কেন্দ্রীয় ছাত্রশিবিরের দফতর সম্পাদক সিবগাতুল্লাহ সিবগা বলেন, ‘বহু বছর আগে আমরা দেখেছিলাম এক স্বৈরশাসক লক্ষ্মণ সেনকে, যিনি আমাদের ওপর শোষণ চালিয়েছিলেন। ঠিক তেমনিভাবে স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন। আমরা বলতে চাই, শেখ হাসিনার পালিয়ে যাওয়া শুধুমাত্র পালিয়ে যাওয়া ছিল না; তার পালিয়ে যাওয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশে ইনসাফ নিশ্চিত হয়েছে।’
এর আগে অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রধান বক্তা হিসেবে কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও কেন্দ্রীয় ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি দেলাওয়ার হোসেন বলেন, ‘আমরা দুর্নীতি ও চাঁদাবাজ কোনো নেতৃত্ব চাই না। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে দুর্নীতি, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজমুক্ত প্রতিনিধি বাছাই করেছি। আগামী দিনেও টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া পর্যন্ত দুর্নীতি ও সন্ত্রাসমুক্ত প্রতিনিধি বাছাই করা হবে ইনশাআল্লাহ।’
উক্ত তারুণ্যের উৎসব ও নির্বাচনি সমাবেশে কয়েক হাজার নেতাকর্মী ছাড়াও সর্বস্তরের সাধারণ মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
ঠাকুরগাঁওয়ে তারুণ্যের উৎসব শুরু হওয়ার আগেই সকাল থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল আর ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে দলে দলে যোগ দিতে থাকেন নেতাকর্মীরা। মুহূর্তেই পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে পীরগঞ্জ উপজেলা পাবলিক ক্লাব মাঠ।
আমার বার্তা/এল/এমই
