রাবিতে সায়মার মৃত্যু অবহেলাজনিত হত্যা, দাবি শিক্ষার্থীদের

প্রকাশ : ২৭ অক্টোবর ২০২৫, ১৬:০০ | অনলাইন সংস্করণ

  আমার বার্তা অনলাইন:

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সুইমিংপুলে সাঁতার কাটতে গিয়ে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সায়মা হোসেনের মৃত্যুকে অবহেলাজনিত হত্যা বলে অভিযোগ করে বিক্ষোভ করেছেন তার সহপাঠীরা।

সোমবার (২৭ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে তারা এ কর্মসূচি পালন করেন। এ সময় শিক্ষার্থীরা সায়মার মৃত্যুর ঘটনায় জড়িত সকলের বিরুদ্ধে তদন্ত ও বিচারসহ চার দফা দাবি জানান। পাশাপাশি তারা আগামী তিন দিন ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দেন।

মৃত শিক্ষার্থী সায়মা হোসেন সমাজবিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্রী এবং মন্নুজান হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ছিলেন। তার বাড়ি কুষ্টিয়া জেলায়।

শিক্ষার্থীদের অন্যান্য দাবিগুলো হলো- সায়মার পরিবারকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিপূরণ প্রদান, বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা কেন্দ্রের সংস্কার ও উন্নত সেবা নিশ্চিতে রোডম্যাপ ঘোষণা, এবং সুইমিংপুলের একটি অংশের গ্যালারি সায়মার নামে নামকরণ।

বিক্ষোভ চলাকালে শিক্ষার্থীরা স্লোগান দেন- ‘তুমি কে আমি কে, সায়মা সায়মা’, ‘আমার বোন মরলো কেন, প্রশাসন জবাব দে’, ‘প্রশাসন তুমি বলো, একটি লাশের দাম কত’, ‘পানিতে ডুবে বোন মরে, প্রশাসন কি করে’।

সমাবেশে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ফজল বলেন, সায়মার মৃত্যুর সময় তিনজন প্রশিক্ষক সুইমিংপুলে উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু তারা কেউ সায়মার অনুপস্থিতি টের পাননি। পরে তারা জিমনেসিয়াম থেকে লোক এনে সায়মাকে উদ্ধার করেন। আমার প্রশ্ন, তারা কেমন প্রশিক্ষক- একজন শিক্ষার্থী ডুবে গেল, তারা তা বুঝলেন না! প্রশাসন তাদের কীভাবে নিয়োগ দিয়েছে, সেটিও প্রশ্নের বিষয়। আমাদের দাবি, প্রশাসন পুরো ঘটনার যথাযথ তদন্ত করে ব্যবস্থা নিক।

সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী নিশাত জান্নাত বলেন, কয়েকজনের দায়িত্বে অবহেলার কারণেই আজ সায়মা আমাদের মাঝে নেই। এই মর্মান্তিক ঘটনা আমরা সহজে মেনে নিতে পারছি না। সায়মার মৃত্যুর সঙ্গে জড়িত সবার বিচার করতে হবে। পাশাপাশি আমাদের চার দফা দাবি অবশ্যই মানতে হবে।


আমার বার্তা/এমই