রাবির চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান বিভাগের অনশনরত ৫ শিক্ষার্থী অসুস্থ
প্রকাশ : ২৭ অক্টোবর ২০২৫, ১৩:৩২ | অনলাইন সংস্করণ
আমার বার্তা অনলাইন

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতির পদত্যাগের দাবিতে আমরণ অনশনে বসা পাঁচ শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। টানা ২১ ঘণ্টা ধরে তারা অনশন করছেন। এর মধ্যে গুরুতর অসুস্থ হওয়ায় দুই শিক্ষার্থীকে স্যালাইন দেওয়া হয়েছে।
এর আগে, টানা চার দিন ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে শাটডাউন কর্মসূচি পালন করেন তারা।
সোমবার (২৭ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে অনশনরত শিক্ষার্থীদের স্যালাইন দেওয়া হয়। এ সময় উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব এসে তাদের খোঁজ নেন। দ্রুত সময়ের মধ্যে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন তাদের।
তবে শিক্ষার্থীরা বলছেন, প্রশাসন শুধু আমাদের আশ্বাসই দিচ্ছে, কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না।
অনশনরত শিক্ষার্থীরা হলেন—চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান বিভাগের ১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের মো. সুমন আলী, ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ইকরা, একই বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী হুমাইরা, ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ইমন ও ২০২২-২৩ এর সাদিক।
এ সময় চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের রাইসুল মাহমুদ বলেন, আমাদের এক দফা দাবি—বহিরাগত সভাপতির অপসারণ। আমরা চাই, বিভাগের সভাপতি হবেন আমাদেরই বিভাগ থেকে। আমরা গতকাল প্রশাসনের সঙ্গে বসেছিলাম, কিন্তু তারা বহিরাগত চেয়ারম্যানকে বহাল রাখতে চায়। তাই আমরা গতকাল থেকে অনশনে বসেছি। আমাদের কয়েকজন অনশনরত অবস্থায় অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তাদের মধ্যে দুইজনকে স্যালাইন দেওয়া হয়েছে। যতক্ষণ না পর্যন্ত তাকে অপসারণ করা হবে ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের অনশন চলবে।
এ সময় বিভাগের ১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী জান্নাত জামান বলেন, আমরা গতকাল প্রশাসনের সঙ্গে বসছিলাম, কিন্তু তারা আমাদেরকে কোনোরকম আশ্বাস দেয়নি। তারা আরও সময় চেয়েছে। আমাদেরকে বর্তমান সভাপতির সঙ্গে আলোচনা করে তাকে মেনে নেওয়ার কথা বলছে। কিন্তু আমরা তাকে চাই না। যেহেতু আমাদের দাবি মেনে নেওয়া হচ্ছে না, আমাদের আন্দোলন চলবে। তাকে অপসারণ না করা পর্যন্ত অনশন চলবে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব বলেন, একটা প্রতিষ্ঠানের প্রধান হিসেবে আমার দায়িত্ব সব বিভাগ যেন ভালোভাবে চলে সেটা দেখা। সেটার জন্য আমি চেষ্টা করে যাচ্ছি। আমরা সমাধান বের করার চেষ্টা করছি। একটা সমাধান বের হবে দ্রুতই। এখন ইস্যুটা হচ্ছে এই কাজগুলো করতে গেলে যে সময়টুকু লাগে সেটা তো আমাদের দিতে হবে।
প্রসঙ্গত, রোববার দুপুরে উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীবের সঙ্গে এক আলোচনায় বসেন শিক্ষার্থীরা। তবে কোনো রকম আশ্বাস না পাওয়ায় তারা আমরণ অনশনে বসেছেন বলে জানিয়েছেন তারা। প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে আমরণ অনশনের ঘোষণা দেন চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের রাইসুল মাহমুদ।
আমার বার্তা/জেএইচ
