ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাদেশের খসড়া প্রত্যাহারের দাবি
প্রকাশ : ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৩:৩১ | অনলাইন সংস্করণ
আমার বার্তা অনলাইন

ঢাকা কলেজসহ রাজধানীর সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা প্রস্তাবিত ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাদেশের খসড়া প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে। শিক্ষার্থীরা বলছেন, খসড়ায় একাধিক অসংগতি রয়েছে যা শিক্ষার্থীদের স্বাতন্ত্র্য, ঐতিহ্য ও অ্যাকাডেমিক উন্নতির জন্য অনুপযোগী ও অযৌক্তিক।
শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) ঢাকা কলেজে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সাত কলেজের স্বায়ত্তশাসন রক্ষা ও শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়নের জন্য অবশ্যই আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে অক্সফোর্ড মডেলের মতো একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
সেখানে কলেজগুলোর প্রশাসনিক ও আর্থিক স্বাধীনতা, নিজস্ব গভর্নিং বডি ও সম্পদ নিশ্চিত করার দাবি জানানো হয়।
উপস্থিত শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের আন্দোলন একসময় গুটিকয়েক ব্যক্তির নিয়ন্ত্রণে চলে যায়। তাদের অতিউগ্রতা ও অশোভন আচরণ ক্যাম্পাসে অরাজকতা সৃষ্টি করেছে, ফলে সাধারণ ছাত্র, নারী শিক্ষার্থী এমনকি শিক্ষকরাও মানসিক হেনস্তার শিকার হয়েছেন। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ২৪ থেকে ২৬ বার আলোচনা হলেও কলেজের অধ্যক্ষ ও বিভাগীয় প্রধানদের মতামত গ্রহণ করা হয়নি।
সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থী পিয়াস আহমেদ আলিফ বলেন, খসড়ায় ইডেন কলেজ ও বদরুন্নেসা কলেজে সহশিক্ষা চালু করার প্রস্তাব রয়েছে, যা শতবর্ষের নারী-অগ্রাধিকার কমাবে। খসড়ায় ধর্মভিত্তিক বিষয়– ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি, ইসলামিক স্টাডিজসহ একাধিক বিভাগ বাদ দেওয়াকে তারা ‘ধর্মবিদ্বেষী মনোভাব’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
এই শিক্ষার্থী বলেন, ইন্টারমিডিয়েট স্তরের ভবিষ্যৎ, অ্যালামনাই পরিচয়, ক্যাম্পাস ও হল ব্যবহারের অধিকার এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ফ্যাসিলিটি ব্যবহারের সমাধান খসড়ায় নেই। তারা মনে করছেন, এতে প্রায় দুই শত বছরের ইতিহাস-ঐতিহ্য মুছে ফেলার চেষ্টা চলছে।
এ সময় শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে বেশকিছু দাবিও তুলে ধরা হয়। সেগুলো হচ্ছে—
১. বিশ্ববিদ্যালয় গঠনের ব্যাপারে সাত কলেজের সব শিক্ষক, ছাত্র, অ্যালামনাই ও কর্মচারীদের সরাসরি আলোচনায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
২. প্রহসনমূলক ই-মেইলের মাধ্যমে মতামত গ্রহণ নয়, বরং খোলামেলা আলোচনায় বসতে হবে।
৩. কমিশন গঠন করে সময়োপযোগী ও টেকসই আইন প্রণয়ন করতে হবে।
এসব দাবি দ্রুত বাস্তবায়ন না হলে পরবর্তীতে আরো কঠোর কর্মসূচির ডাক দেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে।
আমার বার্তা/জেএইচ