শাটডাউনে শিক্ষকরা, ক্যাম্পাস ছাড়ছেন রাবি শিক্ষার্থীরা
প্রকাশ : ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৩:৫২ | অনলাইন সংস্করণ
আমার বার্তা অনলাইন

পোষ্য কোটা ইস্যু ও শিক্ষক লাঞ্ছিতের ঘটনায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি করছেন শিক্ষকরা। আর এসব কারণ দেখিয়ে পূজার পর ১৬ অক্টোবর রাকসু নির্বাচনের নতুন তারিখ ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। এরপর থেকেই এক এক করে ক্যাম্পাস ছাড়ছেন শিক্ষার্থীরা। এছাড়াও নির্বাচন ২০ দিন পেছানোয় চলে যাচ্ছেন রাকসুর প্রার্থীরাও। ফলে শিক্ষার্থী শূন্য হচ্ছে ক্যাম্পাস।
সরেজমিনে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন মার্কেট, প্যারিস রোড, টুকটাকি চত্বরসহ ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কম। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজলা গেট ও বিনোদপুর গেটে বাসের জন্য অপেক্ষা করতে দেখা যায় শিক্ষার্থীদের।
এদিকে শাটডাউন কর্মসূচির ফলে বন্ধ আছে সকল বিভাগের ক্লাস-পরীক্ষা এবং প্রশাসনিক কার্যক্রম। প্রশাসন ভবনের সামনে ও বুদ্ধিজীবী চত্বরে বসে সময় কাটাচ্ছেন কর্মবিরতিতে অংশগ্রহণকারীরা। বিভিন্ন ভবনের তালা খোলা হয়নি। তবে ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি খুবই কম। খাবারের দোকানগুলোতেও আসন ফাঁকা।
বিনোদপুর গেটে বাসের জন্য অপেক্ষারত ঐশ্বর্য বিশ্বাস বলেন, রাজশাহীতে কিছু কাজ ছিল, তাই ক্যাম্পাসে ছিলাম। যেহেতু নির্বাচন পেছানোর ঘোষণা এসেছে, আর পোষ্য কোটার বিষয় সমাধান হয়নি তাই বাড়ি চলে যাচ্ছি। পূজার ছুটি শেষে ক্যাম্পাসের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ফিরবো।
ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী নাজমুল বলেন, ক্লাস-পরীক্ষা কিছু হচ্ছে না, আর হবে বলেও মনে হচ্ছে না। এখানে থেকে এখন আর লাভ নেই। ভাবছিলাম রাকসুতে ভোট দিয়ে বাসায় যাবো। কিন্তু রাকসুও পেছালো। সবাই চলে যাচ্ছে, আমিও কাল চলে যাবো।
রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী আরিফুল বলেন, ক্যাম্পাসের যে অবস্থা, মেস থেকে অলরেডি সবাই চলে যাচ্ছে। ক্লাসও হচ্ছে না, এখন আর রাজশাহী থেকে কী করি। আমার বন্ধুরা প্রায় সবাই চলে গেছে। তাই আমিও আজ বাসায় চলে যাচ্ছি।
দোকানদার সুরজ আলী বলেন, আজ ক্যাম্পাস খোলা, কিন্তু তারপরও শিক্ষার্থী নেই। তেমন ব্যবসা হচ্ছে না।
গত রোববার পোষ্য কোটা নিয়ে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে জরুরি সিন্ডিকেট মিটিং শেষে পোষ্য কোটা স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেয় প্রশাসন। সেইসঙ্গে গত শনিবারের শিক্ষক লাঞ্ছনার অভিযোগ খতিয়ে দেখতে ৫ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে কর্তৃপক্ষ। তবে কোটা স্থগিতের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার ও শিক্ষক লাঞ্ছনার বিচারের দাবিতে কমপ্লিট শাটডাউনের ঘোষণা দেন শিক্ষক, কর্মকর্তা- কর্মচারীরা।
এদিকে নানা উত্তেজনার পর গত সোমবার রাতে নির্বাচন কমিশনের সভায় নির্বাচন ২০ দিন পিছিয়ে ১৬ অক্টোবর ধার্য করা হয়। কমিশন জানায়, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে নির্বাচন পরিচালনা সম্ভব নয়।
আমার বার্তা/জেএইচ