জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৭তম আন্তঃবিভাগ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় গণিত বিভাগের ঐতিহাসিক জয়

প্রকাশ : ০৭ আগস্ট ২০২৫, ১০:২৬ | অনলাইন সংস্করণ

  জবি প্রতিনিধি

জগন্নাথ ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং সোসাইটি (জেএনইউডিএস) কর্তৃক আয়োজিত জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মরণে ১৭তম আন্তঃবিভাগ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় গণিত বিভাগ ডিবেটিং ক্লাবের দল "এমডিডিসি ডেল্টা" চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে। বিজয়ী দলের সদস্য নাদিয়া রহমান, মুনিব মুসান্না এবং সিফাত ফয়সালের অসাধারণ বাগ্মিতা, যুক্তিবাদ এবং দলগত সমন্বয় প্রতিযোগিতায় সকলকে মুগ্ধ করেছে। মুনিব মুসান্না প্রতিযোগিতার সেরা বিতার্কিক হিসেবে পুরস্কৃত হয়েছেন। 

জুলাই গণঅভ্যুত্থান, বাংলাদেশের ইতিহাসে গণমানুষের সাহসী প্রতিরোধ ও অধিকার আদায়ের এক অবিস্মরণীয় অধ্যায়। এই ঐতিহাসিক ঘটনার স্মরণে আয়োজিত এই বিতর্ক প্রতিযোগিতায় গণিত বিভাগের শিক্ষার্থীরা তাদের বিশ্লেষণী দক্ষতা, যুক্তিবাদী চিন্তাভাবনা এবং সৃজনশীল উপস্থাপনার মাধ্যমে শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করেছে।

 গণিত বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো: মিজানুর রহমান এই অর্জনকে বিভাগের জন্য গর্বের মুহূর্ত হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, “এই সাফল্য শুধু একটি ট্রফি নয়, এটি আমাদের শিক্ষার্থীদের মুক্ত চিন্তা, সমাজ সচেতনতা এবং দলগত প্রচেষ্টার প্রতিফলন। আমি আমাদের শিক্ষার্থীদের এই অসাধারণ কৃতিত্বের জন্য অভিনন্দন জানাই এবং আয়োজক জেএনইউডিএস-সহ সকল অংশগ্রহণকারী বিভাগের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।”

 গণিত বিভাগ ডিবেটিং ক্লাবের সভাপতি এবং বিজয়ী দলের সদস্য সিফাত ফয়সাল এই জয়কে তাঁদের দলের কঠোর পরিশ্রম ও ঐক্যের ফসল হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, “যুক্তি কেবল তর্কের হাতিয়ার নয়, এটি পরিবর্তনের হাতিয়ার। আমরা গর্বিত যে আমাদের দল চিন্তা, সম্মান এবং দলগত ঐক্যের মাধ্যমে এই সাফল্য অর্জন করেছে। এই অর্জন আমাদের ভবিষ্যৎ পথচলায় অনুপ্রেরণা জোগাবে।” এই প্রতিযোগিতায় গণিত বিভাগের শিক্ষার্থীরা যে দক্ষতা ও প্রতিভার পরিচয় দিয়েছে, তা কেবল তাদের বিভাগের জন্যই নয়, সমগ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য গর্বের বিষয়।

 জেএনইউডিএস-এর এই আয়োজন শিক্ষার্থীদের মধ্যে যুক্তিবাদ, সমাজ সচেতনতা এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের চর্চাকে আরও উৎসাহিত করেছে। গণিত বিভাগের এই ঐতিহাসিক জয় ভবিষ্যতে আরও বড় অর্জনের পথ প্রশস্ত করবে বলে সকলে আশাবাদী। সকল বিজয়ী ও অংশগ্রহণকারীদের প্রতি আন্তরিক অভিনন্দন।


আমার বার্তা/সাদিয়া সুলতানা রিমি/জেএইচ