ইবি গুচ্ছে যাবে কী-না সিদ্ধান্ত রবিবার

প্রকাশ : ১৮ মার্চ ২০২৩, ১৯:৩৩ | অনলাইন সংস্করণ

  ইবি সংবাদদাতা

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি প্রক্রিয়ার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে  রবিবার।

আজ বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে ১২৫ তম জরুরি একাডেমিক কাউন্সিল (এসি) সভা অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

একইসঙ্গে ভর্তি পরীক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা করা হবে। উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম এতে সভাপতিত্ব করবেন। শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দফতর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, একাডেমিক কাউন্সিল সভার আগে গত বুধবার আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন শাপলা ফোরাম, বিএনপিপন্থীদের জিয়া পরিষদ ও সাদা দল এবং জামাতপন্থীদের গ্রীন ফোরামের সাথে পৃথকভাবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বসেছিল।

শাপলা ফোরামের সভায় ইংরেজি বিভাগের একজন অধ্যাপক ব্যতীত সকলেই গুচ্ছের বিপক্ষে মত দিয়েছেন। এছাড়া অন্যান্য পন্থী শিক্ষকরা গুচ্ছের বিপক্ষে সর্বসম্মত সিন্ধান্তের বিষয়ে উপাচার্যকে জানিয়েছেন।

এর আগে শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী সভা ও সাধারণ সভায় গুচ্ছ থেকে সরে এসে একক পদ্ধতিতে পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়। একইসাথে সরকারকে সেই সিদ্ধান্ত পূনঃবিবেচনার দাবি জানান তারা। এসব সিদ্ধান্ত চিঠি আকারে উপাচার্যকে জানানো হয়।

জিয়া পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. তোজাম্মেল হোসেন বলেন, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সভায় সিদ্ধান্ত (গুচ্ছের বিপক্ষে) নেওয়াই আছে। সে সিদ্ধান্তের কথাই আমরা প্রশাসনকে জানিয়ে দিয়েছি।

সাদা দলের আহ্বায়ক ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এ কে এম মতিনুর রহমান বলেন, যেহেতু এটা একাডেমিক কাউন্সিলের ব্যাপার তাই আমরা আলাদাভাবে কোনো সিদ্ধান্ত জানাইনি। এটা একাডেমিক বিষয় তাই সেখানেই আলোচনা হবে। তবে আমরা অবশ্যই গুচ্ছের বিপক্ষে। এই ভর্তি প্রক্রিয়ার কোনো এডভানটেজ আমরা দেখিনি। উল্টো ভোগান্তি বেড়েছে।

শাপলা ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমান বলেন, নির্বাচনের বছর সরকারকে বিভ্রান্ত করে সাধারণ শিক্ষার্থী ও অভিভাকদের ভোগান্তি বাড়াতে অনেকেই গুচ্ছ প্রক্রিয়া চলমান রাখার চেষ্টা চালাচ্ছে।

সকলের দূর্ভোগ কমাতে আমরা শিক্ষকবৃন্দ এই চলমান প্রক্রিয়া থেকে বেরিয়ে আসার ব্যাপারে একমত হয়েছি। তবে ভবিষ্যতে সকল বিশ্ববিদ্যালয়কে সম্পৃক্ত করে অধিকতর গ্রহণযোগ্য প্রক্রিয়া প্রণয়ন করতে পারলে আমরা আপত্তি জানাবো না।

শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. তপন কুমার জোদ্দার বলেন, আমরা সাধারণ সভায় শিক্ষকদের মতামতের ভিত্তিতে একক পদ্ধতিতে পরীক্ষা গ্রহণের ব্যাপারে একমত হয়েছি। বিষয়টি উপচার্য মহোদয়কেও বিষয়টি চিঠি আকারে জানিয়েছি। আমরা এখনো আমাদের সিদ্ধান্তে অটল।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনা করবে। তাদের উপেক্ষা করে আমার একার সিদ্ধান্তে কোনো কাজ হবে না।

এবি/ওজি